স্মৃতির পরীক্ষা
জেটি ঘাট থেকে শেষ নৌকো টা ছেড়ে গেল। মাঝি জোরে ডাক দিয়ে দাঁড় বাইতে শুরু করলো। মাঝি কেন জানি না, উদ্বেগের সাথে আমার দিকে তখনো তাকিয়ে রইলো। আমি পাশের ভগ্ন গাছের গুঁড়িটাই বসে নিঝুমে কারও অপেক্ষায়। অপেক্ষার হয়তো নির্দিষ্ট কারন নেই কিন্তু মায়ায় মোড়া স্মৃতিকে ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করছে না এই ধু ধু প্রান্তরে।
সিগারেটের আগুন কখন নিভিয়ে গেছে তা টের পাইনি। পাশ ফিরে একটু অগোছালো ভাবে বসলাম। দূরে জাহাজের আলো দেখলাম। ধীরে ধীরে দক্ষিণের হিমেল হাওয়া কে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলছে গন্তব্যের দিকে।
আমি কাঁধ থেকে ব্যাগটা নীচে রাখলাম। আগের সিগারেট আবার আগুন ধরাতে গেলাম কিন্তু সে আর জ্বলে উঠলো না।
হয়তো, কিছু বলতে চাইলো। আমি তবু অগ্রাহ্য করে, নতুন সিগারেট নিলাম। হঠাৎ দমকা হাওয়া যেন বাধা দিল। হয়তো বললো, প্রতীক্ষার পরীক্ষা আর নিও না। বাড়ি ফিরে যাও। মাঝি এখনো খুব দূর যায়নি। ডাক দিলেই বাওয়া বন্ধ করে দেবে।
আমি তখনো পেছনে স্মৃতির দলকে স্পষ্ট অনুভব করছি। যেন হয়তো সে অতীতের মাটি মেখে আমায় রাঙিয়ে তুলবে। তাই স্মৃতির ওপরে ভবিষ্যৎ ভাবছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন