উৎসবের মানে
............................
উৎসবের সবচেয়ে বড়ো মহত্ব কি জানেন? আমার মতে মেলবন্ধন ও সংস্কার তৈরি করাই হল যে কোনো উৎসবের মূল তাৎপর্য। এই দেখুন না, চারদিনের উৎসব হল দুর্গাপুজোর নামে এবং কত মানুষ একে অপরের কাছাকাছি এল, এক সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হল। আর এই সম্পর্কের বন্ধন খুবই দৃঢ়। তার প্রধান কারণ হচ্ছে এইসম্পর্কের মধ্যে কোনো স্বার্থ নেই। বেশিরভাগ মানুষই পূর্ব পরিচিত নই তবুও মুহুর্তগুলো ছোটছোট রশির ন্যায় পরস্পরের সাথে শৃঙ্খল তৈরি করে এক মিষ্টি বন্ধনে বেঁধে দিল। আর উৎসব এখানে অনুঘটকের কাজ করে। তাই উৎসব শুধু কয়েকটা হাসি মজার দিন নই,তার সাথে উৎসব আগামী সময়কে সুন্দর বানানোর উপাদান।
এছাড়াও উৎসব ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত, ধনী গরিব ইত্যাদিকে ছাপিয়ে এক নিজস্ব স্বত্তা তৈরি করেছে। মাত্র কয়েকদিনেই আমাদের আসল সামাজিক, মানসিক, ব্যবহারিক, অর্থনৈতিক, পুঁথিগত শিক্ষা, প্রকৃত শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। ঠিক যেমন জীর্ণ ফুলগুলিকে ফেলে নতুন ফুল দেওয়া হয় ফুলদানিতে, ঠিক তেমনি এই সমস্ত শিক্ষার মধ্যে মানুষের জন্যে প্রকৃত শিক্ষাকে উদ্ঘাটিত করে।
তাইতো আমরা সারাদিন খাটাখাটনী করার পরেও হাসি মুখে একে অপরের সাথে কাঁধ মিলিয়ে পরবর্তী কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আসলে এই পুজো আমাদের একতা, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, নিয়মানুবর্তিতা, ব্যবহার, কাজের প্রতি ভালোবাসা, নিষ্ঠা, ভক্তি, যথাযথ সম্মান প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলিকে মনের অন্তরে গেঁথে দিয়েছে।
উৎসব আসুক প্রতিবছর। আর এই উৎসবই আমাদের সমাজকে সুন্দর ভাবে প্রেম ও ভালোবাসায় বেঁধে রাখবে।
সুমিত মল্লিক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন