তখনো ধ্রুবতারা, আকাশে উজ্জ্বলতা আনেনি
সারি সারি পাখিরা বাসার অভিমুখে
ডানা মেলে উড়ে চলে
গোলাপের মতো রঙে মেখে যাওয়া আকাশে।
পাহাড়ের কোনো এক কোন থেকে
ধোঁয়ারা এলোমেলো হয়ে
শান্ত, স্নিগ্ধ বাতাসের অভিমুখে ভিড়েছে।
শান্ত হাওয়ার এক নিদারুণ অমোঘ
মায়ায় আমি তখন বসে আছি তোমারই অপেক্ষায়।
তারপর, ধীরে ধীরে ম্লান হলো গোলাপি রঙ
ধ্রুবতারা তার উজ্জ্বলতা ভাসিয়ে দিল
অন্ধকারের গোটা আকাশে।
জোনাকির ন্যায় দূরের বাড়িতে মিটিমিটি
আলোর আভা ক্রমশ তারার মতো প্রস্ফুটিত হলো।
আমি বসে আছি, হিমেল হওয়ার বিপরীতে।
আনমনে ভেসে ওঠে তোমার মুখখানি,
সেদিন যখন তোমায় দেখেছিলাম,
গোলাপি ঠোঁটের একগাল হাসিতে।
ভেবেছিলাম, আজ তোমায় সুধাবো,
তুমিও সূর্যাস্তের রঙ ম্লান করে দিতে পার।
আমি বসে আছি, হিমেল হওয়ার বিপরীতে
পাখিরা যেন নিশ্চুপ, এক নির্জন পরিবেশ,
ধোঁয়ার পেয়েছে মুক্তি, আমার অপেক্ষার নিঃশেষ।
পাহাড় কত নিশ্চুপ, কত গম্ভীর রয় সে-যে,
তুমি কি অভিমানী, আমার ওপর রেগেছ যে!
আমি সুধালাম, উত্তর এল কই!
পাশে দেখি অন্ধকার তবে তুমি কই!
আমি বাঁদিক ফিরে তাকালাম,
শুধু তুমি এলে না।
সাঁঝের বেলা ক্রমশ রাত্রি হলো।
কালো রং যেন আর ঘন হলো
পাহাড়ের মিটিমিটি আলো নিভে গেল।
শুধু তুমি এলে না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন