জীবনের জীবনানন্দ অনেকদিন আগেই ভ্রান্ত হইয়া ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইছে।
পথিকের ন্যায় ক্ষনিকের আশ্রয়ে, জীবনের চলমান ব্যথাগুলো যেন কিছুক্ষনের জন্য স্তিমিত করিবার প্রয়াসে থাকে।
শুকনো অশ্বথের পত্র কি আর সালোকসংশ্লেষণ এ সাহায্য করিয়া থাকে? তাহা হয়তো কোন দরিদ্রের গৃহে রন্ধনের জন্য নিজেকে দগদ্ধ করিয়া অগ্নির উত্তাপে বিলীন হইতে পারে। তদাপি, সেই উৎসর্গের গৌরব বাস্তবিক পটচিত্রে স্থান পায় নাই।
"বৃষ্টিও" সময়ের প্রবাহের সহিত নিজকে পরিবর্তিত করে, গ্রীষ্মের গর্জনতা আর বর্ষার নম্রতা নিজের মধ্যে পৃথক স্রষ্টার সৃষ্টি করিয়া থাকে।
জীবনানন্দও স্বচক্ষে বাস্তবিক উত্তাপ অনুধাবন করিয়া অন্তঃগৃহের আকাঙ্ক্ষাকে ভস্মিভূত করিবার প্রয়াস করে।
এ যেন নিমিত্তের পরিহাস আর গহীন অরণ্যের কুজ্ঝটিকার সমবেত বাতাবরণ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন