কোনো শীর্ষক নেই

 ধোত্রের পরম বন্ধু জ্যাক

---------------------------------


আপনারা যদি কোনোদিন ধোত্রে যান তাহলে এনার অবশ্যই দেখা পাবেন। আমিও দেখা পেয়েছিলাম। প্রথমে অত জানতাম না। ধোত্রে তে যে ওয়াচ টাওয়ার আছে ওখানে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি ইনি আমার সামনে সামনে চলতে শুরু করলো। একটু একটু করে এগিয়ে গিয়ে শুঁকে এসে আবার আমার সামনে সামনে চলতে শুরু করলো। আমি এবারে খানিকটা অবাক হলাম। সাধারণত এইরকম ব্যবহার পোষা প্রানীরা করে। যাইহোক, ওখানে যতক্ষন ছিলাম ততক্ষন এও ছিল।
বেশ ভালো লাগলো ব্যবহার দেখে। আসার পথে বিস্কুটের প্যাকেট কিনে খাইয়ে দিলাম।
এরপর আমার রুমে চলে এলাম। চমক তখন বাকি ছিল। পরের দিন ধোত্রে থেকে টংলু যাব ট্রেক করে। রেডি হতে দেরি হলো। একটু দেরি করেই হাঁটা শুরু করলাম। যাইহোক যখন টংলু তে পৌঁছালাম আমি অবাক হয়ে গেলাম। দেখি ইনি অলরেডি হাজির হয়ে গেছেন। আমি তো অবাক। এ তো ধোত্রেতে ছিল তা এখানে এত দূরে কিভাবে এল?
সেসময় দুজন বললো, তারা সকাল বেলা যখন ধোত্রে থেকে আসছিল তখন পুরো রাস্তা গাইড করে নিয়ে এসেছে। এ কথা শুনে আমি আরো আনন্দিত হলাম। ভাবতে থাকলাম পশুরায় একমাত্র এইরকম আছে যারা বিনা স্বার্থে এইরকম ব্যবহার উপহার দেয়। পরে জানতে পারলাম, প্রতিদিন এইভাবে বিভিন্ন ট্রেকার্স দের দলকে এইভাবে গাইড করে নিয়ে যায়।
যাইহোক রাত্রে বেলা আমার বিছানায় ঘুমালো। কারন যাদেরকে গাইড করে নিয়ে এসেছিল তারা রাত্রে রুম থেকে বের করে দিয়েছিল। আমি খুবই কষ্ট পেলাম এই ব্যবহারে। যাইহোক ও দেখলাম আমার রুমে এসে বসেছিল। কেউ কিছু খেতেও দেয়নি। অগত্যা আমার সাথে যা ছিল খাবার সেটাই দিয়ে ডিনার সারলো।
ধোত্রে থেকে টংলু যাওয়ার জন্য এক ভরসা যোগ্য বিনে পয়সার সঙ্গী। এর থেকে ভালো গাইড হতে পারে না। এক অদ্ভুত সঙ্গী পাবেন আপনার 4 ঘন্টার পথে।
যদি ধোত্রে যান অবশ্যই জ্যাকের সাথে দেখা করবেন। ধোত্রে গ্রামের মানুষজন যেমন সহজ সরল ঠিক তেমনি সেখানকার পশুরা। আমাদের কাছে যা এক শিক্ষণীয় বিষয়।

0 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন