কুয়াশার মেঘ
সেদিন খানিকটা সুস্থ বোধ করলাম। হৃদয় আর মস্তিষ্কপ্রসূত আবেগের রোষানলে পড়ে শরীরটা বড্ডো নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। কে প্রকৃত বাস্তব মেনে চলে তা বোঝার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল অনুভূতি। এই অনুভূতি আবার স্বল্পমেয়াদি স্কীমে চলে। বাঁধনছাড়া একাকী জীবনকে মাঝে মধ্যেই হিমশিম খায়িয়ে দেয়।
একদিন এই সমস্যার সমাধান করবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। সবাইকে একত্রে আহ্বান করা হলো এবং সবাই আসলো। কিন্তু অনুভূতি সাথে করে "মোহ" কে নিয়ে আসলো। আসলে মোহ হলো অনুভূতির বন্ধু। "মোহ" আর "মায়া" জমজ ভাইবোন এর মত। তাই প্রথমে চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল।
যাইহোক, এবার অনুভূতির বন্ধু তাই কিছু বললাম না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে "মোহ" সবাইকে বিপাকে ফেলল। সবার হৃদয়ে "অনুভূতির" স্থান দিয়ে মোহময় করে তুলল বাকীদেরকে।
এইভাবেই সবাইকে খর্ব করে মোহ নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করলো। আর এই সাম্রাজ্যের সেনাপতি হিসাবে মায়াকে নিযুক্ত করলো।
তারপর হৃদয় আর মস্তিষ্ক যেন মায়ার ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়ত আচ্ছন্ন হতে লাগলো। অদ্ভুত ক্ষমতার বলে মায়া আর মোহ অতীত আর বর্তমানের ভালো খারাপের দিক মিশিয়ে দিল। ভবিষ্যতকে আগুনের আঙিনায় রাঙিয়ে দিল এক নিমেষে।
এইভাবে তারা শরীরকে বিদ্ধ করলো। কিন্তু বহু পরিশ্রমের পর হৃদয় আবার নিজের কথা শুনল। অনেক যুদ্ধ পেরিয়ে হৃদয় "মায়া-মোহ" মুক্ত রাজ্য তৈরি করলো। আর রুদ্ধ করলো মোহ আর মায়ার জন্য স্থান।
যুদ্ধের শেষে ক্লান্তি ঘিরে রেখেছে যেন সুবিশাল বটবৃক্ষের মতো। হয়তো আবার যুদ্ধের অশনি সংকেত আসবে, আবার ডঙ্কার বাজবে হৃদয়ের মাঝে, কিন্তু আজ অনেকটা সুস্থ লাগছে।
সুমিত মল্লিক
إرسال تعليق