بلا عنوان




 দশমীর দিন। মনের মধ্যে ধীরে ধীরে মনখারাপের মেঘেরা জমা হতে শুরু করেছে। যদিও নবমীর নিশি মন খারাপের সূচনা করেছিল। যাইহোক, দশমীর দিন মা কৈলাশে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় করছিল। আমি খানিক আবেগে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম। মনে হচ্ছিল যেন এই তো এলে, আর কদিন থাকলে কি এমন ক্ষতি হবে। তুমি তো সব কাজ ম্যানেজ করতে পারো। তাহলে এত তাড়া কেন? তুমিই তো সবার বস।

যাইহোক, হঠাৎ মায়ের কাছে গেলাম। পা ছুঁয়ে প্রণাম করলাম। মনে খানিকটা প্রশান্তিঅনুভব করলাম। একবার ওপর দিকে তাকালাম মায়ের চোখে। মায়ের মনের অবস্থা আমার থেকেও খারাপ মনে হলো। কিন্তু মা তো কাউকে বুঝতে দেয়নি। তাই, ব্যাপারটা চেপে রেখে সেই স্বমহিমায় রইলেন।
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিনে মাকে উৎসর্গ করে অঞ্জলী নিয়েছিলাম। মায়ের কাছে গিয়ে অর্ঘ্য অর্পণ করেছিলাম। কিন্তু দশমীর দিন সেইরকম ব্যবস্থা ছিল না। কি করবো বুঝতেই পারছিলাম না। হঠাৎ পাশে গোলাপ ফুলটি ছিল। সেদিন মা কে দিলাম।
আসলে গোলাপ ফুল প্রেম নিবেদনের মাধ্যম বলা হলেও আমি গোলাপ ফুলকে একটু অন্য চোখে দেখি। তাই আমি মাকে গোলাপ ফুল দিই। আমাদের একাডেমি তে "Mother's Day" উদযাপনের দিন মাকে গোলাপ ফুল দিয়ে মায়ের অমূল্য ভালোবাসা নিই।
তো যাইহোক, মাকে গোলাপ ফুল দিতেই মা বললো, হুম বুঝেছি, তুই তো আর কাউকে পটাতে পারলি না তাই আমার শরণাপন্ন হচ্ছিস।
আমি খানিক হেসে বললাম, মা, তুমি পাশে থাকলে সবাইকেই জয় করা যায়।
কি জানি মনে হলো, মা পিঠ চাপড়ে দিয়ে কাছে টেনে নিল।
আসলে মায়েরা এইরকমই হয়। কারন পৃথিবীতে সবচেয়ে কাছের মানুষ "মা"-ই হয়।

0 تعليقات

إرسال تعليق

Post a Comment (0)

أحدث أقدم