بلا عنوان

 



পুজোর ব্যাপারটা আর তেমন আনন্দ দেয় না। না, একেবারে আনন্দ দেয় না বলতে পারবো না তবে আগে যেমন কলকাতাতে ঠাকুর দেখার যে উন্মাদনা ছিল বা কেনাকাটা তে উৎসুক ছিলাম এখন তা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।

এখন তো শুধু নির্জন জায়গায় প্রকৃতির কোলে বসে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিতে রাজি আছি। শহর থেকে অনেকটা দূরে পাহাড়ের কোলে। সারাদিন মেঘেদের খেলা দেখা আর রাত্রে দূরের পাহাড় জোনাকির মতো মিটমিট করবে তা অনুভব করার মধ্যে অসীম আনন্দ আছে, স্বস্তি আছে। এক ভয়ঙ্কর নির্জনতা যেন আগামীকালের চিন্তাভাবনা গুলোকে নিমেষে কফির মাগে চুবিয়ে নির্লিপ্তভাবে পান করে। তা বেশ ভালোই লাগে আমার। অতীতের ভালো খারাপের ঘটনা মাঝে মাঝে পাহাড় ছেড়ে উকি মারে কিন্তু ওই যে পাহাড়ের পরিবেশটা সবকিছু নিমেষে বৃষ্টির মতো ধুইয়ে শূন্য করে দেয়।
মাঝে মাঝে সমুদ্রের কাছে গিয়ে নিজ স্বীকারোক্তি করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সমুদ্র নিজ চালে চলতে ব্যস্ত। সর্বদা নিজের গতিবেগে আর নিজের রূপে ধরা দেয়। হয়তো শুনে আমার কথা আর তখন মনটা হালকা হয়ে যায়। কিন্তু পরে আবার সব কিছু ফিরিয়ে দেয়, সেই ভার আবার হৃদয়ে বহন করে বাড়ি ফিরি।
আসলে বয়স এক অদ্ভুত জিনিষ। পরিবেশ আর পরিস্থিতি তার সাথে সমানে হাত মেলায় আর আমাদের অনুভূতি, ইচ্ছে, ভালোলাগাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। একসময় ঠাকুর দর্শনের জনজোয়ারে সামিল হয়ে সেই পাগলামো অস্থিরতাকে জাগিয়ে রাখতাম। ধীরে ধীরে মন চাকচিক্যের বাইরে উকি দিতে শুরু করলো। দেখলাম, সত্যিই এক অসাধারণ বাস্তব নিজ রূপে দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাস, সেই থেকে কেন যেন মনটা পর্যায় সরণির হিলিয়াম গ্যাসের পাশে অবস্থান করতে শুরু করলো।
শুভ পঞ্চমী সকলকে। ভালো থাকুন সক্কলে।

0 تعليقات

إرسال تعليق

Post a Comment (0)

أحدث أقدم