বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২


                                                      ভাবনার গভীরে

ভিড়ের মাঝে নিজের মতো করে হাঁটার অন্যরকম আনন্দ। কারো সাথে তুলনা নেই, বিষাদের স্বরলিপি নেই, আনন্দের উত্তলতা নেই, সময়ের পরিধি নেই, বিরহের গভীরতা নেই, ভালোবাসার কিনারা নেই।

শুধু নিজের মতো করে চলতে থাকো। সামনের হাওয়াও তোমার অনুগামী হবে। 


সমস্ত মানুষ একদিকে একইভাবে দৌড়ে চলেছে। কিসের নেশায়, কিসের আশায় কেউ সঠিক জানে না। এই নেশা ও আশা ব্যক্তিগতকৃত। যেমন স্কুলে যাওয়া শিক্ষক জ্ঞান প্রদান করতে যায় আর ছোট ছাত্রটি জ্ঞান আরোহণ করতে।

সঠিক কারণটা ঠিক কি কেউ জানে না। শুধু দৌড়ে যাচ্ছে। ছোট থেকে বুড়ো সবাই দৌড়াচ্ছে। গতিপথের নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই, জীবনের প্রকৃত চাহিদা কি তা অজানা এদের কাছে। তবুও থামলে চলবে না


তাই একবার উল্টে হেঁটে দেখো। প্রতিকুলতার সাথে সাথে অনুভূতির সম্মিশ্রনের সুস্বাদু রেসিপি অন্য মাত্রা দেবে।


 

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

 

                                       পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম অবস্থা

..................................................................................................................................................................... 

 

কিছুদিন আগে একটা  আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এ যোগ দিয়েছিলাম Mysore এ। সাতদিনের কনফারেন্স ছিল। তাই আমাদের থাকার জন্য গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একদিন সন্ধ্যের দিকে আমি রুমের বাইরে একটু দাঁড়িয়ে ছিলাম। পাশের রুমের একজন বয়স্ক ভদ্রলোক যিনিও এই কনফারেন্স এ যোগদান করেছিলেন, আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কোথা থেকে এসেছ?"।

 আমি বললাম, আমি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলা থেকে এসেছি। 

শুনেই তিনি বললেন,"ও তার মানে তুমি বাঙালি"

আমি হেসে বললাম, "সে তো অবশ্যই"।

তখন তিনি বললেন," জানো তো, বাঙালিরা খুবই বুদ্ধিমান। সব দিকে তারা পারদর্শী। জানি না এত বুদ্ধি কোথা থেকে আসে! তবে আমার মনে হয় বাঙালিরা যেহেতু প্রচুর মাছ খাই তাই তাদের মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থ বেশি থাকে। 

আমি একটু হাসলাম, হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন আপনি। বাঙালিরা সব জায়গাতেই আছে। ইতিহাসে, বিজ্ঞানে,সাহিত্যে, কলা তে সব জায়গায় ছাপ রেখে চলেছে।


ভারতের অন্য প্রান্তে বাঙালিদের নিয়ে অনেক চর্চা হয়। তাদের ভালো চোখে দেখা হয়। আমি অন্তত উপলব্ধি করেছি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কোন দিকে যাচ্ছে! কিভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে বঙ্গপসাগরের পাশে থাকা বুদ্ধিমান একটা জাতি। 


কিছু অশিক্ষিত, চোর, ডাকাত, গুন্ডা মানুষদেরকে সমাজ পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়েছে আমাদের বুদ্ধিমান বাঙালি জাতি। ডাকাত সর্বদাই নিজের দলে লোকবল ভারী করার চেষ্টাই করবে, তারা সমাজে ভালো হয়ে ফিরে গিয়ে সমাজসেবা করবে না। এই কথাটা হয়তো বাঙালি জাতি ভুলে গেছে। 


বিগত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে তা সত্যিই কি প্রকৃতির অনুকূলে ?


আমি একজন ছাত্র হয়ে তো বলতে পারবো না, শিক্ষার মান ঠিক আছে। এখানে সঠিক শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সঠিক কর্মসন্ধান হচ্ছে।


একজন ব্যবসায়ী বলতে পারবে না, তারা তোলাবাজ শব্দটি কোনোদিন শোনেনি। তারা সুষ্ঠভাবে ব্যবসা করছে।


একজন সরকারি চাকুরিজীবি বলতে পারবে না, তারা তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অর্থ সব কিছু পাচ্ছেন। 


একটি মহিলা এখনো একা রাত্রে বাইরে থেকে বাড়ি আসতে পারবে না। 


আমাকে শুধু বলুন, কোনটা ঠিক হচ্ছে????


শুধু একটামাত্র পয়েন্ট তুলে ধরুন। 


এখনো সময় আছে। অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে ভাবুন,ভাবা অভ্যাস করুন।


----------সুমিত মল্লিক


বসন্তের বিলাপ

শীত যাবে, বসন্ত আসিবে নীরবে। তারপর ঝরাপাতা ঠাঁই হবে কুড়ানির ঘরে, তবু বৃক্ষ স্বপ্ন দেখে, বসন্তের বিকালে, রঙিন পাতা বিছিয়ে দেবে, প্রেমিকার তরে...

Popular