বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

 ফেসবুকে কেলেঙ্কারি

আগে ভাবতাম ফেসবুকে অনেক "ফেসবুক বন্ধু" থাকলে ভালো ব্যাপার। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে চিন্তাভাবনা 180 ডিগ্রি পাল্টেছে। এখন প্রতিদিন ফ্রেন্ড লিস্টে গিয়ে 10-15 টা করে মানুষকে উড়িয়ে দিই। না বোমা দিয়ে নয় ইয়ে মানে আনফ্রেন্ড করে দিই। 

ধূস রেখে কি হবে? জীবনে কথা বলেনা। কুমিরের মতো কাদা মেখে মড়ার মতো থাকে আর কি করি না করি তা চুল-ছেড়া বিশ্লেষণ করে আমার অন্য বন্ধুদের সাথে। পরে আমার বন্ধুগুলো আমায় জানায়। 

তাই এইজন্য আনফ্রেন্ড করে দিই আর তা করতে করতে খুব সামান্যই এসে ঠেকেছে। তারমধ্যে কিছু তো প্রতিদিনের চেনা মুখ । প্রতিদিন তাদেরকে নিয়ে সংসার করছি মানে কর্মসূত্রে প্রতিদিন একসাথে কাজ করি। কিছু আছে পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন। 

কিছু পড়াশুনা সূত্রে ফ্রেন্ড লিস্টে আছে। আর কিছু আমার ভালোলাগা বিষয়গুলোর সাথে মিল থাকলে তাকে ভালো লেগে যায় এমন মানুষজন।

তো কি হয়েছে, ফেসবুক দেখতে দেখতে একটা গ্রূপে ড্রয়িং দেখলাম। পরে প্রোফাইলে ঘুরে এলাম। আহা, যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি গুন।। কি অসম্ভব সুন্দর ছবি আঁকে। পরে প্রোফাইল ভালো করে চেক করলাম তিনিও গবেষণা করেন। ব্যাস জমে গেল আলাপ। মাঝে মাঝে ভালোই কথা হত। সে হয়তো বুঝতে পেরেছিল, আমি একটু ইয়ে মানে তার প্রতি দুর্বল। তাই সে বুদ্ধি করে আবার তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। ও বাবা, মেয়েটির বয়ফ্রেন্ডকে দেখে আমি তো অবাক। আমার আগের অফিসে প্রায় আসত। সুলেখার সাথে ইয়ে ছিল। দুপুরে সুলেখাকে খাবার খাইয়ে দিতে আসত স্পেশাল ভাবে। আমার সাথে ছেলেটার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি তো চম্পদের মতো এদিক সেদিক ঘুরতাম। আমার চোখে স্পেশাল কেস গুলো এসে যেত। তাই হাত করে রাখত আরকি। কেচ্ছার একেবারে অন্ত হয়ে যাবে এই ভেবে। যাইহোক,  একবার 1000 টাকা ধার নিয়েছিল পকেটে টান পড়ার কারণে। তারপর আমি অফিস ছেড়ে দিই। এবং পরে যোগাযোগের অভাবের কারনে পয়সাটা আর পাইনি। এখন পুরানো কথাগুলো আবার যেন মনে পড়ে গেল মেয়েটার বলপেন কে দেখে।


এমনিতে আমি ঠিকঠাক। অনেক মেয়ে প্রোফাইলে ঠুকঠুকি করে। আমার বেশ লাগে। মেমস এর রসদ পেয়ে যায়। কিন্তু আমার আর একটা বাজে স্বভাবও আছে। যে দেখি বড়ো অপ্রাসঙ্গিক জিনিষ দিয়ে , হেগে, মুতে ফেসবুক ভরাই তাকে ধরে ব্লক করে দিই। সে যতই চেনা বা সুন্দরী হোক না কেন!  


তো সেদিন ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে ফ্রেন্ড সাজেশনে একটা সুন্দরী মেয়ের প্রোফাইল দেখলাম। এবারে আমার মতো পিউর সিঙ্গেলদের জন্য বেশ উত্তেজনামূলক ব্যাপার এগুলো। এইরকম প্রোফাইল দেখার পর গবেষণা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এতটা ইন্টারেস্ট ১২ ক্লাসের প্রিয়াঙ্কা কে দেখে হয়েছিল প্রথম।

তো,  আমি ভাবলাম, ভগবান হয়তো আমার জন্যেই "মেয়েটিকে আমার প্রোপগাইলেশো" করাচ্ছে। কারন আমি সবাইকে খুব আপন ভাবি। বিশ্ব সংসার সবই আমার। যাইহোক, তেনাকে দেখে মনে মনে ভাবলাম, "এতদিনের সিঙ্গেল জীবন ঘুচবে"। ঠাকুরকে তো হালকা করে ধন্যবাদ দিয়ে দিলাম।

 ও বাবা , প্রোফাইল নিয়ে রিসার্চ করে দেখি পল্টুর তিন নম্বর গার্লফ্রেন্ড। আমাকে 1নং আর 2 নং টা সম্পর্কে বলেছিল। ও যে এত জল খেতে ভালোবাসে তা জানতাম না। একবার শুধু দুজনের একটা ছবি দিয়ে বলেছিল হাতের ভেতরে সত্যি মতন একটা "heart" বসিয়ে দে। তাই মুখটা একবার দেখেছিলাম। কিন্তু পল্টু যে লম্বা রেসের ঘোড়া জানতাম না। আমি তো হা হয়ে গেলাম। 

আমি তখন কি করবো, মেয়েটাকে পটাব নাকি পল্টুর কেচ্ছা বলবো নাকি পল্টুকে সরিয়ে দেব। 


এদিকে মেয়েটা টুক করে ফোন নাম্বার টা দিয়েছে

--প্রথম পর্ব---

Follow me on Facebook

বসন্তের বিলাপ

শীত যাবে, বসন্ত আসিবে নীরবে। তারপর ঝরাপাতা ঠাঁই হবে কুড়ানির ঘরে, তবু বৃক্ষ স্বপ্ন দেখে, বসন্তের বিকালে, রঙিন পাতা বিছিয়ে দেবে, প্রেমিকার তরে...

Popular